ইয়ানূর রহমানঃঃ
যশোর ও নড়াইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা তিনজনের
নমুনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের স্পাইক প্রোটিনের
সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জেনোম সেন্টারের
সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক জাহিদ জানান, গত ১২ মে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে দুইজনের নমুনা
ও ১৬ মে নড়াইল থেকে একজনের নমুনা পাঠানো হয়। নমুনা পজেটিভ হওয়ার পর ভারত
ফেরত যাত্রী হওয়ায় তাদের শরীরে থাকা করোনার ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের জন্য
স্পাইক প্রোটিনের সিকোয়েন্স করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় আজ তাদের নমুনায়
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বি ১.৬১৭.২ এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার মতে, এটি উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট। এ ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যে ৬০টি
দেশে ছড়িয়েছে। ডাবল মিউট্যান্ট না হলেও এটি উদ্বেজনক।
তিনি বলেন, ‘এখন যারা ভারত থেকে আসছেন তারা ভারতীয় যে কোনো ভ্যারিয়েন্ট
বহন করতে পারেন। সে জন্য আমরা নমুনা পজেটিভ হলেই ভ্যারিয়েন্ট নিশ্চিত
হওয়ার চেষ্টা করছি। এ ধরনের রোগীকে নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া ঠিক হবে
না। এছাড়া দ্রুত আমাদের ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শেষ করতে হবে। তাহলে
আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কম থাকবে।’ এছাড়া মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানা ও
ভারত থেকে মানুষের যাতায়াত কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে, তিন রোগীর শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থাকার তথ্যের বিষয়ে
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন কিছু জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন, এ
বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে আইইডিসিআর, বি ব্রিফিং করবে।
এর আগে ৮ মে যশোরে আরো দুইজনের শরীরের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনা শনাক্ত
হয়েছিল। তখনো জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে ‘কিছুই জানেন
না’ বলে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন। যদিও ঢাকা থেকে যথাসময়েই তথ্যটি গণমাধ্যমকে
দেওয়া হয়েছিল।